প্রিয় খামারী ভাই-বোনেরা, যারা ডেইরী খামার করেন তাদের প্রায় সবাই চান খামার থেকে বেশি লাভ করতে।আর লাভ করতে হলেই তো বেশি দুধ প্রয়োজন।তাই আপনার খামারের গাভীটি যাতে তার সাধ্যের সবটুকু দিয়ে আপনার আশা পূর্ন করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।কিন্তু কিভাবে? যদি জেনে থাকেন তাহলে মিলিয়ে নিন আর জানা না থাকলে নিমিষেই নিচের ১০ট বিষয় খেয়াল করুন।
১।কিভাবে দুধ দোহন করান?
যদি দহনের কোন ত্রুটি থাকে,দোহন কারী পরিবর্তন হয় তাহলে দুধের পরিমানও পরিবর্তন হবে।আর দুধ দোহনের সময় যদি ইভটিচিং করেন তাহলে তো সে বেকে বসবেই।তার মানে দুধ দহনের সময় তাকে একটি শান্ত-শিষ্ট পরিবেশ দিতে হবে।
২। সুষম খাবার পর্যাপ্ত দিচ্ছেন তো?
যেই গরু বেশীই দুধ দিবে সেই গরুকে বেশি খাবার দিতে হবে এটাই স্বাভাবিক।জানেন সকলে মানেন কয়জনে?এবার ভাবুন।৩।গর্ববতী গাভীর শারীরিক অবস্থা কেমন?
গাভী যদি গর্ভবতী হয় তাহলে তাকে এমন ভাবে খাবার দিতে হবে যেন সে নিজের শরীর চালানো,দুধ উৎপাদন এবং গর্ভস্থ বাচ্চার বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত খাবার৪।গাভীর বয়স কেমন হল?
যদি বয়স হিসাব করেন তাহলে সাধারনত ৪-৫ বছর বয়সে দুধের ভরা বর্ষা চলতে থাকে।আর ৮-৯ বছরের পর শুরু হয় গ্রীষ্মের খরা।এবার ভাবুন,আপনার কি করা?৫। শারীরিক ওজনঃ
গরুর ওজন
যত বেশী হয় স্বাভাবিক ভাবে তার ওলান ও পরিপাকতন্ত্র বড় হয়।তাই দুধ উৎপাদন ক্ষমতা ও
বেশী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৬।গর্ভকালঃ
গর্ভকালের শুরুর দিকে দুধের উৎপাদন তেমন পরিবর্তন না হলেও শেষের দিকে উৎপাদন হ্রাস পায়।৭।কতদিন পর পর বাচ্চা হয়?
বাচ্চা দেওয়ার ২-৩ মাসের মধ্যের যেন গাভী ডাকে আসে।তাহলে আপনি ১-১.৫ বছরের মধ্যেই নতুন বাচ্চা পাবেন।৮।সব বাটে কি দুধ সমান আসে?
সাধারনত গাভীর পিছনের অংশের বাট দুটি থেকে মোট দুধের ৬০% আসে এবং সম্মুখ অংশের বাট থেকে বাকি ৪০% আসে।৯। কয়বার দুধ দোহন করেন?
সাধারনত সবাই দুই বেলা ।আর দুই বেলা দুধ দোহনের ব্যবধান যদি হয় সমান সমান (অর্থাৎ ১২ ঘন্টা পর পর) তবে আপনি সর্বাধিক দুধ সংগ্রহ করতে পারবেন।১০।গাভীকে কতটুকু পানি দেন?
দুধের প্রায় ৮৭% পানি।কিন্তু কতটুকু বিশুদ্ধ পানি আমরা তাকে দিচ্ছি?
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন ।আর এই সম্পর্কিত আরো পোষ্ট পেতে www.facebook.com/farmerhope.page এ like দিয়ে সাথেই থাকুন।
ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদাঃ)
রাঙ্গামাটি সদর
No comments:
Post a Comment