Translate

Thursday 29 December 2016

Normal body Temparature of Domestic and Pet Animals


আপনার পোষা-পালিত প্রাণিটির স্বাভাবিক তাপমাত্রা জানুন

প্রাণি অসুস্থ হলে যে লক্ষনটি খুব বেশি দেখা যায় তা হল, প্রাণিটির শরীরে জ্বর আসা।অর্থাৎ তার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে বুঝতে হবে প্রাণিটির জ্বর উঠেছে।তার জন্য আগে জানতে হবে প্রাণিটির স্বাভাবিক তাপমাত্র কত?

 

তাই নিচে প্রাণির স্বাভাবিক তাপমাত্রার একটা চার্ট দিলাম।এই তাপমাত্রা ১ ডিগ্রী কম বা বেশি(±) হলেও স্বাভাবিক তাপমাত্রা ধরা হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট।

সাধারনত ডাক্তারী থার্মোমিটারে ডিগ্রী ফারেনহাইটে (°F) এ তাপমাত্রা মাপা হয়।

মনে রখবেন,মানুষের তাপমাত্রা যে থার্মোমিটার দিয়ে মাপা হয় সেই একই থার্মোমিটার দিয়ে প্রাণির তাপমাত্রাও মাপা যায়।


প্রাণির নাম
তাপমাত্রা(ডিগ্রী ফারেনহাইট)
গরু (দুধ উৎপাদনকারী)
১০১.৫ ± ১
গরু (মাংস উৎপাদনকারী)
১০১.০ ± ১
ছাগল
১০২.৩ ± ১
ভেড়া
১০২.৩ ± ১
শুকর
১০২.৫ ± ১
ঘোড়া
১০০.০ ± ১
হাতি
              ৯৭.০ ± ১
কুকুর
১০২.০ ± ১
বিড়াল
১০১.৫ ± ১
খরগোশ
১০৩.১ ± ১
মুরগী
             ১০৭.০ ± ১
                                     (Source: Dukes Physiology of Domestic Animal, 10th Edition)

লে
ডাঃ সুচয়ন চধুরী
ভেটেরিনারি সার্জন  

Friday 23 December 2016

প্রসব যন্ত্রনা কাতর গাভীর প্রশান্তি! ( A case of Dystokia)

সময় তখন আনুমানিক রাত ৮.৩০ মিনিটি। ফোন রিসিভ করতেই শুনলাম, অপর পাশ থেকে একজন খামারী বলছেন, "স্যার, আমার গাভীটা প্রসব যন্ত্রনায় খুব কষ্ট পাচ্ছে। তাকে মুক্ত করুন।" সাথে সাথে সিদ্ধান্ত নিলাম যেতে হবে।কিন্ত আমি তখন সার্কিট হাউসে রাঙ্গামাটি পরিদর্শনে আগত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের সম্মানিত প্রতিমন্ত্রী ও অন্যান্য উর্ধ্বতন অতিথিদের ডিনারের আয়োজনে ব্যস্ত।


আধা ঘণ্টার ও কম সময়ে ফর্মাল পোশাকেই পৌঁছে গেলাম অসহায় গাভীটির কাছে।তখন গাভীটি মাথা ছেড়ে দিয়ে অনেকটা নির্জীব হয়ে শুয়ে আছে।বুঝতে বাকি রইল না,গাভী খুব বিপদের মধ্যে আছে।বাধ্য হয়ে  নগ্ন হাত জীবানুমুক্ত করে, জরায়ু palpate করে বাচ্চার position & posture পরীক্ষা করে বুঝলাম এটা dystokia  case. অর্থাৎ প্রসবের জন্য বাচ্চার যেই ভাবে থাকার কথা সে ভাবে না থেকে মাথা উল্টে গিয়ে আটকে আছে। তাই গাভীর জরায়ুর চাপ থাকা সত্ত্বেও প্রসব হচ্ছে না।হাত দেওয়ার পর দেখলাম পেটের ভিতর থাকা বাছুরটি আমার আঙ্গুল চুষছে আর বের হবার জন্য ছটফট করছে।অনাগত বাচুরটির জন্য খুব মায়া হল।তাই উপস্থিত দুই জন লোককে নিয়ে লেগে পড়লাম displacement correction এর কাজে।

Mother's Love
জরায়ূর অনেক চাপ ও তাপ সহ্য করে প্রায় ১০ মিনিট চেষ্টার পর বাচুরের position normal করতে পেরলাম।তখন হাত ব্যথায় প্রায় অবশ হবার মত অবস্থা ।তারপরও, প্রায় সাথে সাথেই স্থানীয় লোকদের সহায়তায় বাচুরটাকে মাতৃ গর্ভ থেকে বের করে পৃথিবীর আলোয় নিয়ে আসতে সক্ষম হলাম।মা প্রসব যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেল।

অপার্থিব একটা শান্তি অনুভব করলাম।খামারীর মুখে হাসি ফুটে উঠল। সে হাসিই তো আমার পরম পাওয়া।আর কি চাই বলুন তো! নিখুঁত বাচ্চাটিকে তার মা পরম স্নেহে আদর করে চেটে দিচ্ছিল।পরম করুনাময় সৃষ্টি কর্তাকে, চোখ বুজে ধন্যবাদ জানালাম আমাকে এই জ্ঞান দেওয়ার জন্য,যার মাধ্যমে আমি একটি প্রাণিকে প্রসব যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিতে পারলাম।

এখানে কয়েকটি বিষয় খুব গুরুত্ব পূর্ন সেটা হল, 
Cow and Her daughter
after sever painful labor

  1. খামারী যখন অস্বাভাবিক অবস্থা বুঝতে পারে তখন সাথে সাথে আমার মাঠকর্মীর সাথে যোগাযোগ করেন।
  2.  ঐ মাঠ কর্মী অবস্থা জটিল বুঝতে পেরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সরনাপন্ন হবার পরামর্শ দেয়।
  3. খামারী দ্রুত প্রানী চিকিৎসকের সরনাপন্ন হন।
  4. অল্প সময়ে গাভী এবং বাচুর সুস্থ অবস্থায় প্রসব কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।
Happiness of farmer
তাই প্রসবকালীন জটিলতায়,দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়াই সব চেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ ।

লেখকঃ ডাঃ সুচয়ন চৌধুরী,
           ভেটেরিনারি সার্জন



Tuesday 20 December 2016

Turtles as patient



প্রাণি হাতপাতালে সকল প্রাণি সেবা পাবে। এটাই সব প্রাণির প্রত্যাশা,তাই তো  গতকাল রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার প্রাণি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছিল বিরল প্রজাতির এই কচ্ছপটি।মালিক খুব যত্ন করে কোলে করে নিয়ে এসেছিল এই প্রাণিটিকে।

আমার সামনে আসার পর মিটিমিটি চোখ বের করে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল।কিন্তু মালিকে বলছিলেন,এটি চোখ খোলে না।অবশেষে তাকে বিদায় জানালাম সামান্য কিছু ঔষধ দিয়ে।

লেখকঃ
ডাঃ সুচয়ন চৌধুরী।
ভেটেরিনারি সার্জন,
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর,
রাঙ্গামাটি প্রাণিস্পদ দপ্তর

Sunday 11 December 2016

রাঙ্গামাটিতে ভেড়া বিতরন (Sheep distribution in Rangamati)

সম্প্রতি রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ২০ জন খামারীকে ৩ টি করে মোট ৬০ টি ভেড়া প্রদান ককরা হয়। ভেড়া প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলার জেলা প্রশাসক; উপ-পরিচালক,চট্টগ্রাম বিভাগ,জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা,রাঙ্গামাটি;উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

Recently pig distribution was done among 20 Farmers of Belaichori Upazila. Each farme get 3 pigs.The Deputy commissioner of Rangamato, Deputy director of Livestock dept., Chittagong division,Distict livestock oficer,Rangamati;Upazila livestock officer,Sadar were present in that Pig Dostribution Ceremony.

Monday 9 May 2016

গরুর রক্ত প্রশ্রাব কি করবেন?

গরুর রক্ত প্রশ্রব করলে যে কাজগুলো করতে কতে হবে তা একটু জানুন
  1. এ রোগের আরেক নাম হল বেবিসিওসিস/babesiosis/Piroplasmisis/Red water fever
  2. এ রোগের বাহক হল এক ধরনের পরজ়ীবি নাম হল babesia spp
  3.  অসুস্থ গরুকে প্রথমে সুস্থ গরু থেকে আলাদা করে ফেলতে হবে।
  4. পর্যাপ্ত পরিমানে পানি খাওয়াতে হবে ।ডাবের পানি হলে সবচেয়ে ভাল হয়।
  5. চিকিৎসা হিসেবে  Imidocarb Dipropionate গ্রুপের ঔষধ যেমন babe cure দেওয়া যেতে পারে।মাত্রা হল ১-২.৫ মিলি প্রতি ১০০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য।প্রয়োজন হলে ১ দিন পর পূনরায় প্রয়োগ করতে হবে।
  6. অথবা, Aromatic Diamidinies গ্রুপের ঔষধ যেমন Berenil 0.৮ গ্রাম/ ১০০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
  7. কোম্পানির ঔষধ পাওয়া না গেলে, ৮-১০ গ্রাম এলাম এবং ১০-১৪ গ্রাম বোরিক এসিড,২৫০ মিলি পানির সাথে মিশিয়ে দিনে তিন বার করে দুই দিন খোওয়ালে এ রোগ ভাল হয়ে যায়।
  8. সাথে যে কোন একটা পেনিসিলিন/পেনিসিলি+ স্ট্রেপ্টোমাইসিন গ্রুপের ঔষধ যেমন Pronaphen 40 lac ১০ মিলি/১০০ কেজি দৈহিক ওজনেরে জন্য ৫-৭ দিন দে ওয়া যেতে পারে।
বি.দ্রঃ রোগ অতিরিক্ত হলে অবশ্যি নিকটস্থ প্রাণি চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন

লেখকঃডাঃসুচয়ন চৌধুরী
          ভেটেরিনারি সার্জন