Translate

Saturday 9 March 2019

যে ১০ টি কারনে টিকা দিলেও কার্যকর হয় না


১।অসুস্থ প্রাণিঃ
সংক্রামক রোগ বা কৃমিতে আক্রান্ত পশু-পাখিকে টিকা প্রয়োগ করা উচিত নয়।তাতে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় না।

২।গর্ভবতী গাভীঃ
গর্ভবতী গাভীকে সব ঠিকা দেওয়া যায় না।

৩।টিকা পরিবহনঃ
টীকা উৎপাদন থেকে শুরু করে খামারে প্রয়োগ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই টীকা নির্দিষ্ট তাপমাত্রা তাপমাত্রায় রাখতে হয়।তা না হলে টীকার মৃত্যু ঘটে

৪।সূর্যের আলোঃ
খেয়াল রাখতে হবে টিকা যাতে সূর্যের আলোর সংস্পর্শে না আসে।কারনে সূর্যের আলো এবং তাপের প্রভাবে টিকার বারোটা বেজে যেতে পারে।

৫।টিকা প্রয়োগের সময়ঃ
টিকা প্রয়োগের সঠিক হল সূর্য উদয়ের আগে অথবা সূর্যাস্তের পরে।তা না হলে,টিকা তো কাজ করবেই না বরং প্রাণিটির মৃত্যুর পর্যন্ত ভয় থাকে।

৬।টীকা মিশ্রনঃ
 টিকা মিশ্রনের পূর্বে কোন মিশ্রনের নিয়মটি সঠিক ভাবে জানতে হবে।ডোজ কম বা বেশি হলে টিকা কাজ করবে না।তাছাড়া বিপদেরও আশংকা থাকে।

৭। টীকা প্রয়োগের সরঞ্জামঃ
টিকা প্রয়োগ ও মিশনের সময় যে সমস্ত সরঞ্জাম ব্যবহৃত হয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবানুমুক্ত  না হলে টিকা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৮।টিকার মেয়াদঃ
মেয়াদ উত্তীর্ণ বা সাধারন রঙ পরিবর্তন হয়ে গেলে সে টিকাও ব্যবহার করা যাবে না।

৯।টিকা প্রয়োগের স্থানঃ
সঠিক স্থানে সঠিক নিয়মে টিকা প্রয়োগ করতে হবে।তা না হলে ঝামেলায় পড়তে পারেন।

১০।এন্টিবডি টাইটারঃ
বড় বড় খামারগুলোতে টীকা প্রয়োগের পূর্বে এই টাইটার মাপা হয়।যদি টাইটার কম থাকে তাহলে টীকা প্রয়োগের মাধ্যমে এই টাইটার বৃদ্ধি করে।কিন্তু সবার পক্ষে এটা সম্ভব হয়ে উঠে না।তাই যতদিন পর পর টীকা প্রয়োগের নির্দেশ থাকে ততদিন পর পর টিকা প্রয়োগ করতে  হবে। (বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন )

সবশেষ বলি,নিয়মিত সঠিক নিয়মে টিকা প্রয়োগ করুন আর খামার নিরাপদ রাখুন।