Translate

Friday 9 June 2017

গরমে আরাম পেতে খামারে খামারীর করনীয়

১।পানি শুন্যতার কারনে দুধ উতপাদন কমে যায়।সাথে সাথে প্রচণ্ড গরমের দুপুরে হিট ষ্ট্রোক হতে পারে গাভীর।তাই খামারে প্রচুর পরিমানে খাবার পানি সরবরাহ করেন।

২। গবাদি পশুকে প্রতিদিন সকাল বেলা গোসল করাবেন লোমের গোড়া ঘসে ঘসে।ফলে লোমের গোড়া পরিষ্কার থাকবে।চামড়ার বিভিন্ন রোগ কম হবে।পশু শান্তি পাবে।

৩।দুপুর বেলা মাঠে না চড়ানোই উত্তম।বাইরে ঘাস খাওয়নোর জন্য সকাল এবং বিকালের সময়টি বেচে নিতে পারেন।

৪। দুপুরের খাদ্য তালিকায় পশুর খাদ্যে খাবার স্যালাইন যুক্ত করতে পারেন।

৫। ক্যালসিয়াম জাতীয় উপাদাগুলো ভোরে অথবা সন্ধ্যার খাবারে যুক্ত করেন যখন প্রকৃতি তুলনা মুলকভাবে ঠাণ্ডা থাকে।

৬।খাবারে কাঁচা ঘাস তথ ফাইবারের পরিমান বৃদ্ধি করে শর্করা এবং আমিষের পরিমান কমিয়ে দিতে পারেন।

৭। যারা গরু মোটাতাজাকরন করছেন,উনারা আপাদত মোটাতাজাকরনের ঔষধ ও খাদ্য ব্যবহার বন্ধ বা কমিয়ে রাখুন।সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় এই গরম হয়ত দীর্ঘ দিন থাকবে না।

 ডা:সুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকরতা (অ:দা:)
রাঙ্গামাটি সদর

Wednesday 7 June 2017

কোরবানীর মৌসুমে খামারে ক্ষুরা রোগ ভয় জয় করবেন কি ভাবে?

খামারে ক্ষুরা রোগ মোকাবিলা দশ উপায়

১। খামারে অবশ্য ক্ষুরা রোগের ঠিকা সঠিক নিয়মে দিতে হবে।এতে আপনি ৯০% ঝুকি মুক্ত থাকবেন।
২। অসুস্থ প্রাণি থেকে ক্ষুরা রোগের জীবানু অনেক দূর ছড়াতে পারে।তাই আপনার পার্শবর্তী সকল খামারেরও টিকা প্রয়োগ আবশ্যক।
৩।ডেইরী খামারীরা কোরবানীর মৌসুমে খামারে নতুন গরু ক্রয় বন্ধ রাখুন।একটি অসুস্থ গরু,একজন খামারীকে সর্বশান্ত করার জন্য যতেষ্ট।
৪।একই খামারে ডেইরী ও ফ্যাটেনিং বিপদের কারন হতে পারে।তাই সাবধান!
৫।অসুস্থ গরু সুস্থ গর‍্য থেকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
৬।খামারের ফ্লোর নিয়মিত জীবানু ননাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন।
৭।নিয়মিত ক্ষুরের মাঝে এবং জীহ্বায় খেয়াল করুন কোন ক্ষত আছে কিনা!
৮।খামারব বহিরগত দের প্রয়োগ সীমিত করুন
৯। অসুস্থ প্রাণিকে রেজিষ্টার্ট ভেটেরিনারি ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা করালে উত্তম
১০।আপনি সচেতন হোন অন্যকে সচেতন করুন।
আপনাদের সচেতনতায় পারে, খামারকে ক্ষুরা রোগের থাবা থেকে বাঁচাতে

ডা: সুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অ:দা:)
রাঙ্গামাটি সদর

Friday 2 June 2017

রাঙ্গামাটি পৌর এলাকায় ছাগলের পিপি,আর রোগের টিকা প্রদান আগামীকাল(০২/০৬/১৭)



ছাগলের সবচেয়ে বিপদজনক রোগ পি,পি,আর।এই রোগ হলে মৃত্যুর হার খুব বেশি থাকে। বর্ষা মৌসুমে এর প্রাদূর্ভাব সবচেয়ে বেশী ।আশার কথা হল,এই রোগের টিকা প্রয়োগে ছাগলকে প্রায় ৯৫% নিরাপদ করা যায়।আপনার ছাগলকে টীকা প্রয়োগ করেছেন তো!


রাঙ্গামাটি সদরের খামারীদের সুবিধার্থে, আগামীকাল(০২/০৬/১৭ খ্রিঃ) সকাল বেলা রাঙ্গামাটি পৌর সভার বিভিন্ন এলাকায় ন্যায্য মূল্যে এই টিকা প্রদান করা হবে রাঙ্গামাটি সদর প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে।

উক্ত এলাকার খামারীরা এই সেবা নিতে আগ্রহী হলে,
comment বক্সে নাম,ঠিকানা,মোবাইল নম্বর লিখুন অথবা এই পেইজের call now অপসানে গিয়ে call করতে পারেন(আগামী কাল সকাল ৭ টা থেকে ৮.৩০ এর মধ্যে)।

একটি টিকা বাঁচাতে পারে শত শত ছাগলের জীবন।বাঁচবে খামারী।
তাই সেবা নিন ভাল থাকুন

ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অঃদাঃ)
রাঙ্গামাটি সদর

Thursday 1 June 2017

রাঙ্গামাটি প্রানিসম্পদ পরিবারের ক্ষুদ্র প্রয়াস-"শিশুদের দুগ্ধ বিতরন".


বিশ্ব দুগ্ধ দিবস,২০১৭ উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা ও সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ এর যৌথ উদ্যোগে ভেদভেদিস্থ সরকারী শিশু পরিবারের সকল শিশু-কিশোরীদের মাঝে ডেইরী খামারীদের সৌজন্যে বিনামূল্যে দুগ্ধ বিতরন করা হয়।

যেভাবে শুরুঃ
সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য কিছু করার উদ্যোগ নিয়ে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার ডেইরী খামারীদের সাথে আলাপ করা হয়।খামারীরা সতঃস্ফুর্তভাবে কমপক্ষে ১ লিটার করে দুধ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।আর তা সংগ্রহ ও সমন্বয়ের দায়িত্ব গ্রহন করেন রাঙ্গমাটি প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

স্থান নির্ধারনঃ
দুধ খাওয়ারনোর জন্য স্থান নির্ধারন করা হয় ভেদভেদিস্থ সরকারী শিশু পরিবার যেখানে দুইশ এর কাছাকাছি শিশু থাকে।আর তাদের সাথে যোগাযোগ এর জন্য তিন সদস্যের একটি কমিঠিও গঠন করা হয়।
 
সময় নির্ধারনঃ

"বিশ্ব দুগ্ধ দিবস"কে উপযুক্ত সময় হিসেবে বেঁচে নেওয়া হয় আর সময় নির্ধারন করা হয় দুপুর ১২ টা। যেহেতু সকল খামারীকে খামারের কাজ শেষ করে একত্রিত হতে  সকাল পেরিয়ে যাবে।

দুধ সংগ্রহঃ
বিভিন্ন জায়গায় একটা একটা দুধ সংগ্রহ পয়েণ্ট করা হয়, যেখানে খামারীরা দুগ্ধ জমা করে।সেখান থেকে প্রাণিসম্পদ বিভাগের গাড়ী দুগ্ধ সংগ্রহ করে বিতরন স্থানে নিয়ে যায়।

দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত করনঃ

শিশু সদনের নির্ধারিত রান্না ঘরে,নির্ধারিত পাচক দু্গ্ধ প্রক্রিয়াজাত করেন। সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন এ বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন খামারী ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

মুল কার্যক্রমঃ

১লা জুন,২০১৭ খ্রিঃ দুপুর ১২ টার একটু পরে ডাঃ দেওরাজ চাকমার সঞ্চালনায় শুরু হয় মূল আলোচনা সভা।যেখানে বক্তাদের আলোচনায় দুধের প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিত ভাবে উঠে আসে।

যারা উপস্থিত ছিলেনঃ


উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মানিত সদস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক আহ্বায়ক রেমলিয়ানা পাংখোয়া,অন্য আরেকজন সদস্য ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউট বিষয়ক আহ্বায়ক শান্তনা চাকমা;রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: সুমনী আক্তার; নানিয়াচর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা:অমর জ্যোতি চাকমা।রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: সুচয়ন চৌধুরী।রাঙ্গামাটি জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন ডা: দেবরাজ চাকমা।আরো উপস্থিত্ত ছিলেন বেশ হেডম্যানসহ কয়েকজন  ডেইরী খামারী।অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষন ছিল রাঙ্গামাটি পৌরসভার ভেদিভেদিস্থ সরকারী শিশু পরিবারের ক্ষুদে শিশুরা।

দুগ্ধ বিতরনঃ
আলোচনা শেষে শিশুদের হাতে উষ্ণ দুধের গ্লাস তুলে দেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।রোজারদারদের জন্য ইফতারের পরে দুধ দেওয়া হয়।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশঃ
সমাজ সেবা অধিদপ্তরের রাঙ্গামাটি জেলার উপ-পরিচালক,সরকারী শিশু সদনের তত্ত্বাবধায়ক, উপস্থিত অতিথিবৃন্দ,ডেইরী খামারীবৃন্দ সহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ অনুষ্ঠানকে সফল করতে সহায়তা করার জন্য।

ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদাঃ)
রাঙ্গামাটি সদর

                                                                   ফটোগ্যালারী