Translate

Friday 22 September 2017

Farmer Hope ব্রয়লার খামার পরিকল্পনা (পর্ব-৩)ঃপ্রতি মুরগীর জন্য কত জায়গা প্রয়োজন?(গ্রীষ্ককাল)





মুরগীর সুস্থ স্বাভাবিক বৃদ্ধি চাইলে মুরগীর থাকার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা দেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে দিনের পর দিন যাবে কিন্তু মুরগীর ওজন আর বাড়বে না।এখন প্রশ্ন হল মুরগীর স্বাভাবিক ভাবে কতটুকু জায়গা প্রয়োজন?

গরম কালে আরাম দিতে প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক মুরগীকে গড়ে কমপক্ষে ১
.-  .৫ বর্গফুট জায়গা দিতে হবে।তা না হলে মুরগী গরমে নরম হতে থাকবে আর আপনার ব্যবসা লাটে উঠতে থাকবে।

 প্রথম ১ – ২ দিন বয়সে প্রতি মুরগীর জন্য গড়ে ০
.৩ বর্গফুট জায়গা লাগে।যা ৪-৭ দিন বয়সে দাঁড়ায় ০.   বর্গ ফুটে।বয়স বাড়ার সাথে সাথে জায়গাও বড় করতে হবে।

এখন আসুন ২য় সপ্তাহে,
৮-১১ দিন বয়সে প্রতি মুরগীর জন্য গড়ে ০
. ৬ বর্গফুট স্থানের প্রয়োজন।১২ -১৪ দিনে জায়গা আরো একটু বাড়িয়ে ০.৮ থেকে ০. ৯ বর্গফুট করতে হবে।
পবর্তীতে ২০ দিন পর্যন্ত তা ১.০ - 1. ৩ বর্গফুটে রাখা যায়।তবে ২০ দিনের উপরে হলে মুরগীকে ১.৫ বর্গফুট জায়গা দিতে পারলে মুরগীর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ত্বরানিত হবে। আর এভাবে চলতে থাকলে ২৫-২৬ দিনেই আপনার মুরগী বিক্রয় উপযোগী হয়ে যাবে।

আর সব ঠিক ঠাক থাকলে আপনি ৩০ দিনের মধ্যেই মূলধন সহ লাভ নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবেন।

তবে শীতকালে জায়গার পরিমাপটা একটু ভিন্ন।আগামী পর্বে সেই বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব।সেই পর্যন্ত
www.facebook.com/farmerhope.page/ like দিয়ে সাথেই থাকুন।প্রয়োজনীয় মনে  করলে পোষ্টটি share করে নিজের facebook আইডিতে রাখতে পারেন।

ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদা)
রাঙ্গামাটি সদর

আরো জানতে হলে নীচের লিংক  গুলোতে ক্লিক করুন

আরো জানতে নিচের লিংকগুলোতে ক্লিক করতে পারেন

১। পর্ব-১ঃ আপনি কি ভাবছেন ব্রয়লার খামার করবেন?

২। পর্ব-২ঃ প্রতি ব্যাচে মুরগীতে কত খরচ হতে পারে?

৩।পর্ব-৩ঃ প্রতি মুরগীর জন্য কত জায়গা   প্রয়োজন?(গ্রীষ্ককাল)

৪।পর্ব-৪ঃ প্রতি মুরগীর জন্য কত জায়গা প্রয়োজন?(শীতকাল)
               
৫। পর্ব-৫ঃ মুরগী তোলার আগের প্রস্তুতি


৬। পর্ব-৬ঃ প্রথম বাচ্চা গ্রহনের পর করনীয় 





Saturday 16 September 2017

Farmer Hope ব্রয়লার খামার পরিকল্পনা (পর্ব-২)ঃপ্রতি ব্যাচে মুরগীতে কত খরচ হতে পারে?



যারা ব্রয়লার খামার করার স্বপ্ন দেখছেন তাদের মনে এই প্রশ্নটি ঘুর পাক খেতে থাকে হর হামেশা।তাদের জন্য বলছি, এত ভাবাভাবির কিছু নেই,যদি ভাবেন খামার করবেন তাহলে আর চিন্তা কি! হাতে এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা থাকলেই এক হাজার মুরগীর একটা ব্যাচ করার সাহস আপনি করতেই পারেন।
 
ধরে নিচ্ছি ঘর আপনার বানানোই আছে।আর যদি নাও থাকে ঘর বানানোর জন্য আপনার খরচ হবে এক বার।বার বার নয়।তবে আপনি মোটামুটি ৬০ – ৭০ হাজার টাকার মধ্যে এক হাজার মুরগীর জন্য একটি ঘর তৈরি করে নিতেই পারেন।খরচ বেশি হলেও তা এক লক্ষ টাকা ক্রস করবে না।প্রয়োজনে মিস্ত্রী ডেকে আলাপ করে নিতে পারেন পূর্বেই।

কেউ কেউ মনে করেন, ব্রয়লার মুরগীর এক দিনের বাচ্চার দাম  জোয়ার ভাটার মত উঠা নামা করে।কি চিন্তাই পড়ে গেলেন তো? তবে গড়ে ধরে নিতে পারেন ৩০ - ৫০ টাকা এর মধ্যেই থাকে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া।

আর রেডি মুরগির দাম! সেটাও পরিবর্তনশীল।তবে যেদিকে নৌকা,সেদিকে পাল তুললেই আপনি লাভের নৌকা বাইতে পারবেন।

ব্রয়লার পালন বর্তমানে একটি শিল্প, বিশাল বানিজ্য ক্ষেত্র।এতক্ষন ধরে যখন পোষ্টটি পড়লেন, তাই ধরেই নিচ্ছি আপনি একজন নতুন উদ্যোগতা হতে যাচ্ছেন।হোক না সেটা একশ, পাঁচশ অথবা এক হাজার মুরগী দিয়ে। আপনার একশত মুরগীর খামারই হয়ত একদিন এক লক্ষ মুরগীর খামারে পরিনত হবে।

এখন সিদ্ধান্ত আপনার।ভাবুন,শিখুন,জানুন,তারপর শুরু করুন।সফল আপনি হবেনই হবেন, নিশ্চিত থাকুন।

পরবর্তী পর্বে আপনি খামার সম্পর্কে কি জানতে চান, তা জানিয়ে কমেন্টস করুন অথবা মেসেজ করুন আর
www.facebook;.com/farmerhope.page/ like দিয়ে সাথেই থাকুন।


ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদাঃ)
রাঙ্গামাট সদর

আরো জানতে নিচের লিংকগুলোতে ক্লিক করতে পারেন

১। পর্ব-১ঃ আপনি কি ভাবছেন ব্রয়লার খামার করবেন?

২। পর্ব-২ঃ প্রতি ব্যাচে মুরগীতে কত খরচ হতে পারে?

৩।পর্ব-৩ঃ প্রতি মুরগীর জন্য কত জায়গা   প্রয়োজন?(গ্রীষ্ককাল)

৪।পর্ব-৪ঃ প্রতি মুরগীর জন্য কত জায়গা প্রয়োজন?(শীতকাল)
               
৫। পর্ব-৫ঃ মুরগী তোলার আগের প্রস্তুতি


৬। পর্ব-৬ঃ প্রথম বাচ্চা গ্রহনের পর করনীয় 


Tuesday 12 September 2017

Farmer Hopeকিভাবে বুঝবেন আপনার গরু ডাকে আসছে?

উত্তর খুব সহজ।গরু ডাকে আসলে ডাকাডাকি করবে।তবে সেটা সচরাচর যে ভাবে ডাকে তার চেয়ে ভিন্ন।মুলত গরুর যখন প্রজননের সময় হয় তখন একটু বেশি ডাকাডাকি করে,আপনাকে বুঝিয়ে দিতে চাই তার চাহিদার কথা।

শুধু কি তাই! এ সময় গরু লাফ ঝাপ দিয়ে অন্য গরুর উপর উঠে যেতে চাই।এমনটি কি সে আপনার গায়ের উপর ও ঝাপ দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে।

তিন নম্বর যে লক্ষনটি আপনি দেখতে পাবেন,তা হল প্রস্রাবের রাস্তা যাকে যোনী বলা হয় সে দিকে লালার মত তরল রশির মত লম্বা লাইন ধরে ঝড়তে দেখা যায়।যাকে আমরা মিউকাস বলি।এটি কিছুটা আঠাঁলো টাইপের।

অনেক সময় দেখা যায় লেজের আগায় এই মিউকাস লেখে আছে।যা সহজে দেখা যায়।

গরুর প্রসাবের রাস্তায় অর্থাৎ যোনীর মুখের সে চামড়া যাকে আমরা "লেবিয়া মেজর" বলি তার ভিতরের দিকে গাড় গোলাপী বর্ন হয়ে যায়।আর এই জায়গাটা একটু ফুলে যায় যেটা বাইরে থেকেও বুঝা যায়।

এই সময়টাতে গরু খাওয়া দাওয়াও কমিয়ে দেয়।কিন্তু গরুর মধ্যে অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায়।কোন গরু বেশি কোন গরু কম অস্থির।

আর একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন,গরু ঘনঘন যোনির মুখ থেকে লেজ সরিয়ে ফেলে।

এ সমস্ত লক্ষনগুলো দেখলে দেরি না করেন নিকটস্ত প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কৃত্রিম প্রজনন কর্মীর সাথে যোগাযোগ করে কৃত্রিম প্রজননের ব্যবস্থা করতে হবে।

ডা:সুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অ:দা:)
রাঙ্গামাটি সদর

খাঁটি খামারীর খাঁটি দই --" বকুলের দই "


ভেজালের মহা যজ্ঞের এই যুগে এই খাঁটি জিনিস সবাই আশা করে।কিন্তু সেই আশা তো সোনার হরিন!সেই সোনার হরিনকে হাতের নাগালে এনে দেওয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াস "বকুলের দই"।

চোখে স্বপ্ন আর বুকে সাহস নিয়ে এই উদ্দ্যমী যুবক, নিজের খামারে দুধ দিয়ে, নিজেই দই বানিয়ে বিক্রি শুরু করেন।

চাহিদা দিন দিন বাড়ার কারনে এখন নিজের খামারের দুধের দই দিয়ে চাহিদা মিটাতে পারে না।তাই তিনি অনেক কষ্টে খামার বাচাই করে খাঁটি নিশ্চিত হয়ে দুধ সংগ্রহ করেন।আর সারা রাত জেগে দই তৈরি করছেন।এর পর দিনে বিক্রি।

শুধু দই নয়,গরম গরম দুধও পাওয়া যাবে উনার দোকানে।মানুষের হাতে চা নয়,দুধ তুলে দিয়েই উনি শান্তি পান।

তার কাণ্ড দেখে কবি নজরুলের কথা মনে পড়ে,যিনি একাই একটি পত্রিকার সংবাদ সংগ্রহ,টাইপ,প্রিন্ট থেকে শুরু করে হকার হয়ে ঐ পত্রিকা বিক্রি করতেন।

এই যুবকের উদ্যোগ থেকে একটি বিষয় উল্ল্যেখ করা যায়।তা হল ডেইরী খামার করে শুধু দুধ বিক্রি করে ব্যবসা চালানোর দিন শেষ।এখন সময় এসেছে,দুগ্ধ জাত পন্য নিয়ে চিন্তা করার।

আসুন এই যুবকের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।উনি যেন সফল খামারী এবং সফল উদ্যোগতা হতে পারেন।আপনার উতসাহ,উনার ভবিষ্যতে অনুপ্রেরনা হয়ে থাকবে।

ডা:সুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণুসম্পদ কর্মকর্তা(অ:দা)
রাঙ্গামাটি সদর

Monday 4 September 2017

Farmer Hope ব্রয়লার খামার পরিকল্পনা (পর্ব-১)ঃ আপনি কি ভাবছেন?



ব্রয়লার খামার পরিকল্পনা (পর্ব-১)ঃ আপনি কি ভাবছেন?

 
দেশের সর্ব স্তরের মানুষের কাছে যে খাদ্যটি সহজে সুলভে মাংসের চাহিদা পূর্ন করে তা হল ব্রয়লার মুরগীর মাংস।আর এ মাংস উৎপাদনের সাথে যুক্ত আছে খামারী সহ লক্ষ লক্ষ মানুষ।আপনিও কি ব্রয়লার খামারীদের একজন হতে চাইছেন? উত্তর যাদের “হ্যা” তারা নীচের কথাগুলো একটূ পড়ে নিতে পারেন।

আপনি হয়ত জানেন, ব্রয়লার খামার এমন একটি শিল্প যা খুব অল্প সময়ে আপনাকে লাভ দিবে।আপনি যদি আজকে ব্রয়লার মুরগীর এক দিনের বাচ্চা পালন শুরু করেন তা হলে ধরে নিতে পারেন এক মাস পরে লাভ সহ প্রাথমিক মুলধন তুলে নিতে পারবেন।তবে এর মাঝখানের প্রতিকূলতাগুলো আপনাকে মোকাবিলা করে জয়ী হতে হবে।

আর যদি প্রতিকুলতা না থাকত তা হলে তো লোকজন অন্যান্য সব কাজ বাদ দিয়ে ব্রয়লার খামার শুরু করে দিতেন।তা কিন্তু হয় না।

লেখাটা যখন পড়া শুরু করেছেন, তা হলে ধরে নিচ্ছি আপনার আগ্রহ আছে।আর নিজেকে তৈরী করার জন্য এই ধারাবাহিক পেইজের এই ধারাবাহিক পর্বগুলো নিয়মিত পড়তে থাকুন।আশা করি আপনার এগিয়ে যাওয়ার পথে সাহস যোগাবে।

ব্রয়লার খামার করার কথা ভাবলেই প্রথমে মাথায় প্রশ্ন আসে “কত টাকা” লাগতে পারে।তাই আগামী পর্বে সেই বিষয়ে আপনাদের ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব।সেই পর্যন্ত
www.facebook.com/farmerhope.page/   like দিয়ে সাথেই থাকুন।


ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদাঃ)
রাঙ্গামাটি সদর
আরো জানতে নিচের লিংকগুলোতে ক্লিক করতে পারেন

১। পর্ব-১ঃ আপনি কি ভাবছেন ব্রয়লার খামার করবেন?

২। পর্ব-২ঃ প্রতি ব্যাচে মুরগীতে কত খরচ হতে পারে?

৩।পর্ব-৩ঃ প্রতি মুরগীর জন্য কত জায়গা   প্রয়োজন?(গ্রীষ্ককাল)

৪।পর্ব-৪ঃ প্রতি মুরগীর জন্য কত জায়গা প্রয়োজন?(শীতকাল)
               
৫। পর্ব-৫ঃ মুরগী তোলার আগের প্রস্তুতি


৬। পর্ব-৬ঃ প্রথম বাচ্চা গ্রহনের পর করনীয় 



Saturday 2 September 2017

Farmer Hope কোরবানীর হাটে কেমন হল খামারীর বেচা কেনা



প্রিয় খামারী ভাই ও বোনেরা সবাইকে পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা।

“ঈদ মোবারক”
পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে যারা গরু মোটাতাজাকরন প্রকল্প হাতে নিয়ে ছিলেন,আশা করি আপনাদের সকল পশু বিক্রি হয়ে গেছে।সবাই কম বেশি লাভবান হয়েছেন।বিক্রি হয়নি এ রকম গরু নেই বললেই চলে।তবে লাভের ধরনটা স্থান ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়েছে।

বাজারে মাঝারি সাইজের দেশি গরুর চাহিদা ছিল তুলনা মূলক ভাবে বেশি।তবে বড় গরুও যতেষ্ট বিক্রি হয়েছে।খবরে জানতে পারলাম “রাজা বাবু”(ষাড়) নাকি বিক্রি হয়েছে সতের লক্ষ টাকা দিয়ে। এটা আশাপ্রদ খামারীদের জন্য।

আপনাদের আনন্দের কথা,সাফল্যের কথা শুনতে খুব ভাল লাগে।কিন্তু সে সুযোগ নেই।তাই আমি কয়েক জন সফল খামারীর কথা সহ গরুর বাজারের একটি ছোট ভিডিও ক্লিপ এর লিংক নিচে দিলাম।আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।

https://www.youtube.com/watch?v=HQOC53mQIsg

আমরা জানি আপনিও  আপনার খামারের সাফল্যের কথা, কষ্টের কথা জানাতে চান।কোরবানীর মৌসুমে কেমন হল আপনার বেচাকেনা.........?  সে বিষয়ে কমেন্টস করতে পারেন অথবা ভিডিও দিতে পারেন।বিস্তারিত লিখতে চাইলে  ইনবক্সে পাঠাতে পারেন।পরবর্তীতে যাচাই করে সেই আপনার লেখাই আপনার নাম উল্লেখ করে পোষ্ট আকারে প্রকাশ করা হবে। আমরা সবাই মিলে আনন্দ-কষ্ট ভাগাভাগি করে নিতে চাই।
ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদাঃ)
রাঙ্গামাটি  সদর