Translate

Friday 27 October 2017

বাচুরকে দুধ কতটুকু খাওয়াবেন?





উত্তর খুব সহজ! বাচুরের যতক্ষন না পেট ভরে।কিন্তু এটা কি তার জন্য পর্যাপ্ত না কি কম বা বেশি।যদি গরু ফ্রিজিয়ান বা উন্নত কোন জাতের তাহলে তো সেটা ২০-২৫লিটারও দিতে পারে।আর বাচুর যদি মন ভরে খেতে থাকে তাহলে কি হবে চিন্তা করুণ তো! সর্বনাশ!! হতে পারে পাতলা পায়খানা,পেট ফোলাসহ অনেক ঝামেলা।সর্বশেষ পরিনতি মৃত্যুও হতে পারে।

আর বিষয়টা যদি তার উলটো হয় তাহলে কি হবে।একটা একশত কেজি ওজনের দেশী রোগা গাভী তার বাচুরকে কতটুকু দুধ দিতে পারে,যদি সারা দিনও বাচূর দুধ খায়।আর যদি বাচুর হয় দেশি এবং ফ্রিজিয়ানের ক্রস তাহলে তো আর কথাই নেই।না খেয়ে খেয়ে বাচুরটি হবে দূর্বল।তার ভবিষ্যত কি হবে ভাবুন তো!সেটা কি ভবিষ্যতে ভাল গাভী হতে পারবে।উত্তর অবশ্যই “না”।

দুধ বেশী খাওয়ান আর কম খাওয়ান দুটোই খারাপ
তাই বাচুর কে পর্যাপ্ত দুধ খাওয়াতে হবে।তাহলেই ভবিষ্যতে ভাল গাভী পাবেন।পাবেন ভাল ষাড়।
কিন্তু সেই পর্যাপ্ত পরিমানটা কতটুকু।এক মিনিট ভাবুন??

এবার বলি শুনুন, যদি বাচুরের ওজন হয় ৩০ কেজি তাহলে তাকে দুধ দিতেহ হবে দৈনিক তিন কেজি।এভাবে চল্বা জন্মের পর তিন সপ্তাহ।

এর পরে বাচুরের ওজন ৩০ কেজি হলে দৈনিক দুধ দিতে হবে ২ কেজি।এই হিসেবে চলবে আরো দুই সপ্তাহ।তাহলে মোট পাঁচ সপ্তাহ গেল।

এবার আপনি প্রতি ২০ কেজি ওজনের জন্য ১ কেজি করে দুধ দিলেও চলবেতাহলে বাচুরের শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকবেআর ভবিষ্যতে আপনার খামার লাভজনক হয়ে  উঠবে।


ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদাঃ)
রাঙ্গামাটি সদর,রাঙ্গামাটি

আরো জনতে হলে নিচের লিংকগুলো ক্লিক করতে পারেন

১। ডেইরী খামারে ওলান ফোলা রোগ নিয়ন্ত্রনে ১০ টি কৌশল
২। কিভাবে বুঝবেন আপনার গরু ডাকে আসছে?
৩। গরুর স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত?
৪। গরুর রক্ত প্রশ্রাব কি করবেন?

Thursday 26 October 2017

Farmer Hope ব্রয়লার খামার পরিকল্পনা (পর্ব-৬): প্রথম বাচ্চা গ্রহনের পর করনীয়


বাচ্চা তুলার আগে নিশ্চিত হতে হবে আপনার খামারটি সম্পূর্নভাবে বাচ্চা তোলার জন্য প্রস্তুত।এরপর সুবিধা জনক সময়ে সুবিধাজনক দামে বাচ্চা খামারে নিয়ে আসবেন।খামারে আনার পর যত দ্রুত সম্ভব বাচ্চা লিটারে ছেড়ে দিতে হবে।তবে তার খেয়াল করতে হবে বাচ্চা ছাড়ার আগে পানির পাত্র বসানো হয়েছে কিনা! আর পানির তাপমাত্রাটা হওয়া চাই স্বাভাবিক।অধিক ঠান্ডা বা অধিক গরম পানি বাচ্চা জন্য ভয়ংকর ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

মনে রাখবেন যে লোক বাচ্চা নিয়ে যে যেন খামারে না ডুকে।কারন তার মাধ্যমে হাজার হাজার জীবানু খামারের মধ্যে ডুকতে পারে যা আপনার খামারের বারটা বাজানোর জন্য যতেষ্ঠ।তাই বাচ্চা আনার আগেই ঠিক করে নিতে হবে কে বাচ্চা আনবে আর কে খামারের ভিতরে থাকবে।
যদি সম্ভব হয় তাহলে সকাল বেলা বাচ্চা খামারে তোলাই ভাল।কারন এ  সময় আবহাওয়া অনেকটা ঠাণ্ডা থাকে।আর যদি তা করতে পারেন তবে যা করতে পারেন তাই করবেন।
বাচ্চা গ্রহনের সময় বাক্সের মধ্যে মৃত বাচ্চার সংখ্যা হিসাব করে নিতে হবে।আর সেটা রেজিষ্টারে লিখে রাখতে পারেন।আর সেই সংখ্যা যদি বেশি হয় তাহলে কি করতে হবে তা আমার চেয়ে আপনারা ভাল জানেন।

বাচ্চা ছেরে দেওয়ার পর তাদের আচরন ও গুনাগুন ভালভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।সাধারনত বাচ্চা ছাড়ার একটু পর থেকেই ছোটা ছুটি শুরু করে দেয় আর একি স্বরে চিঁ চিঁ শব্দ করে।এটাই স্বাভাবিক।যদি দেখেন মুরগী আলাদা আলাদা স্থানে দল পাকাচ্ছে তাহলে বুঝবেন তারা পনার ক্ষতির চক্রান্ত করছে।তারা যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা সবাই এক সাথে অসুস্থ হয়ে পড়বে তাহলে আপনার খবর আছে!তাই কোন ধরনের বিশৃংখলা দেখলেই নিকটস্থ অভিজ্ঞ রেজিষ্টার্ড পোল্ট্রি চিকিতসকের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিতে হবে।আর না নিলে ২-৩ দিনের মধ্যে বুঝতে পারবেন কি ঘটবে।দায়িত্ব আপনার।
নতুন নাদুস নুদুস বাচ্চা গুলো অনেক সময় পানি পর্যন্ত খেতে চায় চাই।সেরকম যদি হয় তাহলে তাকে জামাই আদর করে পানি খাওয়াতে হবে।দেখবেন দুই একবার আদর পেলে সে নিজেই ঘর জামাইয়ের মত হয়ে যাবে।তার খাবার নিয়ে আপনাকে আর ভাবতে হবে না।
আপনি কি দেখেছেন বাচ্চা ছাড়ার সময় খামারে ভিতরের তাপমাত্রা কত?সেটা কিন্তু অবশ্যই ৯৫ ফারেন হাইট হওয়া চাই।খামারের তাপমাত্রা কিরকম হবে সে বিষয়ে আলাপ হবে আগামী পর্বে।
সেই পর্যন্তwww.facebook.com/farmerhope.page like দিয়ে সাথেই থাকুন।



ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদাঃ)
rfacebook.com/farmer.page

Thursday 19 October 2017

Farmer Hope ব্রয়লার খামার পরিকল্পনা (পর্ব-৫): মুরগী তোলার আগে প্রস্তুত





ভাবছেন দুই একদিনের মধ্যে খামারে মুরগী তুলবেন তাহলে আর দেরি কেন এখনি লেগে পরুন খামার প্রস্তুত করার কাজে।ধরেই নিয়েছি আগের ব্যাচের মুরগী বিক্রির পর পরই আপনি খামার পরিষ্কার করে জীবানু মুক্ত করে রেখেছেন।যদি তাই হই তাহলে একবার দেখুন ঘরের ফ্লোরটি ঝকঝকে আছে কিনা।যদি  কোন ধরনের স্যাঁতস্যাতে দেখেন তাহলে তাকে সাথে সাথে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করেন।
চিক গার্ড
বাচ্চা তোলার আগের দিনই খামারের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র সংগ্রহ করে রাখুন।পর্দা আগের দিনই ফেলে রাখতে পারেন।আর লিটার (ভুষি বা তুষ) আগের দিনই বিছিয়ে দিতে পারেন। তবে তার আগে বাচ্চা রাখার জন্য ৩-৩.5 ফুট উচুঁ প্লাষ্টিক বা টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরা দিতে হবে ।একে বিজ্ঞানের ভাষায় চিক গার্ড বলে।চিক গার্ড অবশ্যই গোল করে ঘরের মাঝ খানে করে দিতে হবে।প্রতি মুরগীর বাচ্চার জন্য আনুমানিক ০.২ বর্গফুট জায়গা হিসেব করে ঘেরা ভিতরের জায়গা ঠিক করতে হবে।
হুবার
এর পর তাপের জন্য টিনের ছানির দিতে হবে।যার মাঝে নির্দিষ্ট দূরত্বে ছিদ্র থাকবে যে ছিদ্রে বৈদ্যুতিক বাতি লাগাতে হবে।একে আবার একিটু ভাল করে বললে হুবার বলা হয়।এই হুবারটি টিনের তৈরি।এই হুবারের সুবিধা হল এটি ব্যবহারের ফলে সদস্য মা বাপ ছেড়ে আসে বাচ্চাগুলো এটার নীচে বসে মায়ের কোলের উষ্ণতা নেয়।

থার্মোমিটার

এর পর আপনি তাপমাত্রা ঠিক করেন।প্রথম দিন মুরগীর ঘরের তাপমাত্রা কোণভবেই ৯৫● ফারেনহাইট এর কম করা যাবে না।আর এটা মাপার জন্য আপনার কিন্তু একটা থার্মোমিটার চাই।এর নাম হল রুম থার্মোমিটার।এই থার্মোমিটারের ডান পাশে এই মান লেখা থাকে।এম্বার কোন রকমে শিখতে পারলে আর ভুলার কোন চান্স নাই।

ঘরে মুরগী তোলার কমপক্ষে ছয় ঘন্টা আগে ঘরের তাপমাত্রা ৯৫●ফারেনহাইট করে রাখতে হবে।যাতে মুরগী আসার সাথে সাথে সে তার কাংখিত তাপমাত্রা পাই।

আর চিন্তা নাই,আপনার খামার মোটামুটি প্রস্তুত মুরগী তোলার জন্য।আপনি নিশ্চিন্ত মনে এবার মুরগী তুলতে পারেন।মুরগী তোলার পর কি ভাবে কি করবে সেটা আগামী পর্বে লিখব।সেই পর্যন্ত www.facebook.com/farmerhope.page এ like দিয়ে সাথেই থাকুন।


ডাঃসুচয়ন চৌধুরী

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদাঃ)

Wednesday 11 October 2017

ডেইরী খামারে ওলান ফোলা রোগ নিয়ন্ত্রনে ১০ টি কৌশল.........



যারা ডেইরী খামার করছেন কিন্তু গাভীর ওলান ফোলা রোগের ঝামেলায় পরেননি এরকম খামারী খুব কমই আছে।খামারে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটাতে পারে এই রোগটি।কিন্তু আপনি দশটি সহজ উপায় অবলম্বন করলে সহজেই এই রোগকে প্রতিহত করতে পারেন।তবে প্রথমে জানতে হবে ওলান ফুলা  রোগটি কি?

ওলান ফোলা রোগ কি?

ওলান ফুলা বা ম্যাস্টাইইটিস হল গাভীর ওলানে বা বাঁটে কোন ধরনের সমস্যা যাবে বিজ্ঞানের ভাষায় প্রদাহ বলে।সাধারন ওলানের দুধ বের নির্গত হবার জন্য ওলানের যে টিস্যুগুলো আছে সে গুলো যদি কোন কারনে আক্রান্ত হয় তাহলে ওলনা ফুলে গিয়ে দুধ উৎপাদন বাধা গ্রস্ত হয় এমনকি সম্পূর্ন বন্ধ হয়ে গাভির শরীরে বিভিন্ন ধরএনের জঠিলতা তৈরি করতে পারে।সাধারনত ওলান যদি সরাসরি আঘাত প্রাপ্ত হয়,ক্ষতিকর রায়নিক ওলেন প্রবেশ করে অথবা কোন ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস,ফাংগাস দ্বারা ওলান আক্রান্ত হয় তাহলে এই রোগ হতে পারে।

এখন প্রশ্ন হল কিভাবে আমি এটা প্রতিরোধ করতে পারি।এই রোগ প্রতিরোধের সহজ ১০ টি উপায় নীচে জানিয়ে দিলাম।আশা করি নিজের খামারকে রক্ষা করতে পারবেন।



১।পরিষ্কার পরিচ্ছন্নন খামারঃ


গরুর খামার সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।যাতে করে গাভী সব সময় স্বস্তিতে থাকতে পারে।গাভী যদি স্বস্তিতে থাকে তাহলে অক্সটসিন হরমোন ভালভাবে নির্গত হতে পারে। গাভীর মাথা থেকে নিসৃত এই হরমোন  অধিক বেশি দুধ উৎপাদনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।পরিষ্কার খামারে ম্যাস্টাইটিস রোগ তৈরী করতে পারে এমন ক্ষতিকর জীবানুর পরিমান একদম কমে যায়।

খামারে ফ্লোরটি নিয়মিইত ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে। খুব গরম, খুব আর্দ্র আবহাওয়ায় গাভীটি যতে স্বস্তিতে থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।যদি গাভীর জন্য কোন ধরনের বিচানা দেওয়া হয় তবে সেটা যেন অজৈব পদার্থ দিয়ে তৈরী হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।কারনে অজৈব পদার্থে ক্ষতিকর জীবানু কম জন্মায়।



২।পরিষ্কার ওলানঃ

খামার ম্যাস্টাইটিস মুক্ত রাখতে হলে,গাভীর ওলান  অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে।দুধ দোহনের আগে অবশ্যই দুধের বাটগুলো ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে।এর ফলে দুধ দোহনের সময় ওলানে এবং বাটে লেগে থাকা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াগুলো বাটের ভিতর ঢুকতে পারে না।

অনেক রকমের ব্যাকটেরিয়া আছে যারা মাটিতে এবং গোবরে লেগে থাকে।এরম মধ্যে স্ট্রপ্টো কক্কা, ই
.কোলাই এবং এন্টারোব্যাকটার খুবই মারাত্মক।যারা সহজেই বাটের মধ্য দিয়ে ওলানে পৌঁছে যেতে পারে।ওলানে যখন মাটি,গোবর ইত্যাদি লেগে থাকে তখন তারা বাটের চারপাশে ঘোরা ঘুরি করতে থাকে।তাই দুধ দোহনের পূর্বে অবশ্যই ওলানে লেগে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে।তা না  হলে দুধ দোহনের জন্য যখনই বাটে চাপ পরে তখনি এ সমস্ত ব্যাকটেরিয়া বাটের ছিদ্র পথে ভিতরে প্রবেশ করে ওলনাকে অসুস্থ করে ফেলতে পারে।
ওলানের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন জীবানু পানির মাধ্যমেও পরবাহিত হতে পারে।তাই পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।যেসস্ত ওলানে বা বাটে অতিরিক্ত কাদা-গোবর লেগে থাকে,সে সমস্ত ক্ষেত্রে পানি দিয়ে ভাল ভাবে ধুতে হবে।পানি জোরে জোরে দেওয়া যাবে না।আর চেষ্টা করতে হবে পানি যত কম ব্যবহার করা যায় ততই ভাল।

যে নল বা পাত্র দিয়ে পানি দেওয়া হয় সেটি বয়ে নিয়ে আসতে পারে  হাজার হাজার জীবানু, যা ওলান নষ্ট করার জন যতেষ্ট। তার মধ্যে সিউডোমোনাস জাতের ব্যাক্টেরিয়াগুলো খউ মারাত্মক।তাই এই সব নল প্রত্যকবার ব্যবহারের পুর্বে ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে।তাছাড়া ব্যবহারের পর পানি জমিয়ে রাখা যাবে না।





০৩।ওলান পরীক্ষা করাঃ

প্রত্যেক বার দুধ দোহনের পূর্বে ওলান ভাল করে পরীক্ষা করে নিতে হবে।অনেক সময় দুধের বাটে ক্ষত ছিড়াঁ, এমনি ঘাঁ পর্যন্ত থাকতে পারে।এই রকম সমস্যা থাকলে ঐ সমস্ত বাটে দুধ দোহনের মেশিন ব্যবহার করা যাবে না।এই সমস্ত বাটে ম্যাসটাইটিস হবার ঝুকি থাকে বেশি।তাই বাটে কোন ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখা গেলে যত দ্রূত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

০৪।দুধ দোহনের পূর্বে বাট পরিষ্কার করাঃ

যেকোন একটা ভাল জীবানুনাশোক দিয়ে দুধ দোহনের পূর্বেই বাটগুলো ডুবিয়ে নিতে হবে।এর ফলে ওলানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ক্ষতিকুর জীবানুর পরিমান কমবে।যার ফলে বাটে ম্যাস্টাইটিস হবার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে।কমপক্ষে ২০ সেকেণ্ড জীবানুনাশক  এর মধ্যে দুধের বাঁট ডুবিয়ে রাখতে হবে।জীবানুনাশক দিয়ে স্প্রে করার চেয়ে ডুবিয়ে রাখলে ফল বেশি পাওয়া যায়।

যে পাত্রে জীবানুনাশক নিয়ে বাটদ ধোয়া হবে সেটি ভাল ভাবে পরিষ্কার করতে হবে।একবার ডুবানোর পর অবশিষ্ট তরল ফেলে দিতে হবে।তা না  সে পাত্রই আবার ব্যক্টেরিয়ার বাহক হতে পারে।যা নতুন গাভীকে আক্রান্ত করতে পারে।





০৫।বাট পরিষ্কার করে মুছে ফেলাঃ


জীবানু নাশকে ডুবানোর পর সেই বাট পরিষ্কার তোয়ালে বাঁ কাপড় দিয়ে মুছে শুষ্ক করে ফেলতে হবে।যদি সম্ভব হয় তাহলে প্রতিটি গরুর জন্য আলাদা আলাদা কাপড় বা তোয়ালে ব্যবহার করলে ভাল।খেয়ার করতে হবে যেন ওলান বা বাটের মুখে কোন ধরনের মাটি,গোবর বাঁ অন্য কোন পদার্থ লেগে না থাকে।


বাট শুকনো থাকলে মিল্কিং মেশিন ভাল ভাবে কাজ করে।যদি বাট ঠিক মত পরিষ্কার এবং শুষ্ক না হয় তাহলে দুধ দোহনের সময় বাটে ক্ষত হতে পারে,ছিড়ে যেতে পারে,ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে।ফলে ম্যাস্টাইটিস তৈরী করী ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।



০৬।মেশিন স্থাপনের পূর্বে দুধ পরীক্ষা/দোহনঃ


দুধ দোহনের ম্যাশিন স্থাপনের পূর্বে প্রতিটি বাট থেকে সামান্য দুধ নিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোন ধরনের স্বাভাবিকতা আছে কিনা?এর ফলে দূধ সংগ্রহের পূর্বে দুধের মান এবং ওলানের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক অবস্থা জানা যায়।এর আরো একটি সুবিধ হল।এটি অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরনে উদ্দীপ্ত করে।এই অক্সিটোসিন হরমোন দুধ উৎপাদন ও দুধ বের হওয়ার সাথে ঘনিষ্ট ভাবে সম্পর্কিত।



জীবানু নাশক দ্বারা ধৌত করার পূর্বে বাঁ পরে এই কাজটি করা যায়।তবে প্রত্যকটি পদ্ধতিই ডেইরী খামারের জন্য উপকারী।



০৭।দুধ দোহনের যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহারঃ


যে সমস্ত লোকজন দুধ দোহনের মেশিন ব্যবহার  করবে তাদেরকে অবশ্যই এই বিষয়ে ভাল ভাবে প্রশিক্ষন করতে হবে।এই যন্ত্রটি  কিভাবে স্থাপন করতে হবে,কিভাবে আলাদা করতে হবে তা ভাল ভাবে জানতে হবে।

মিল্কিং মেশিন স্থাপনের সময় যে কোন ধরনের বাতাস জমা না থাকে সেই দিকে খেয়ার রাখতে হবে।




০৮।দুধ দোহনের সময় মনিটরিংঃ

দুধ দহনের সময় সব কাজ ভাল ভাবে তদারকি করতে হবে।

০৯।খাদ্যাভ্যাসঃ

দুধ দোহনের পর গাভীকে খাবার দিয়ে ব্যস্ত রাখতে হবে।যাতে গাভীটী দাড়িঁয়ে  থাকে।দুধ দোহনের সময় দুধের নালীগুলো বড় হয়ে যায়।যা স্বাভাবিক হতে অনেক সময় এক ঘন্টাও লেগে যায়।তাই এই সময় গাভীকে ব্যস্ত রেখে দাড়িঁয়ে রাখতে পারলে ভাল।




১০।খাদ্যে ভিটামিন ই ও সেলেনিয়াম

গাভীর ওলানের সুরক্ষার জন্য ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়া ম খুব গুরুত্বপূর্ন।তাই গাভীর দৈনিক খাবারে ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়ামের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করত হবে।