Translate

Wednesday 31 January 2018

ভাল দুধের ভাল গরু নির্বাচনের ১০ টি কৌশল

বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ খামারীই চাই ভাল জাতের গাভী দিয়ে ডেইরী খামার শুরু করতে।তার বিভিন্ন জায়গায় ভাল জাতের গাভী খুঁজে বেড়ায়।কারন বেশির ভাব উদ্যোগতাই চাই নিজ খামার থেকে ভালটা লাভ বের করে আনতে।

গরু বাচাইয়ে আগে অবশ্য গরুর কিছু বৈশিষ্ট্য যাচাই করতে হবে।তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কিছু বিষয় নীচে আলোচনা করলাম।

১।ওলানের গঠন  হবে কোমল এবং নমনীয় অনেকটা থলের মত গঠন। বড় ওলান মানেই কিন্তু সবসময় ভাল গাভী নয়।অনেক সময় মাঝারি আকারের ওলান হলেও ভাল দুধের গাভী হতে পারে। বিস্তারিত জানতে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন

২।পায়ের আকৃতি হওয়া চাই মাঝারি আকৃতি শক্ত সামর্থ্য।

৩। ভাল গাভীর দেহের আকৃতিটা হয় অনেক ত্রিকোনাকার অর্থাৎ সামনের দিকে একটু সরু এবং সামনে থেকে পিছনের দিকে তা ক্রমান্বয়ে প্রশস্ত।

৪। গাভীর বুকের পাঁজর হবে প্রসারিত।

৫।গাভীর চামড়া হবে পাতলা ডিলে-ঢালা।

৬।যে গাভীকে যত কম কৃত্রিম প্রজনন করিয়ে গর্ভবতী করা যায় সেই গাভীর প্রজনন ক্ষমতা তত ভাল।তাই ভাল প্রজনন ক্ষমতা সম্পন্ন (Conception Rate) গাভীকেই খামারের জন্য নির্বাচন করতে হবে।

৭।গাভী তার জীবন দশায় কতটী বাচ্চা দেয় আর কতটূকু দুধ দেয় সেই বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ন।

৮।যেই গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং যেই গরুর রোগ হলে সহজে সুস্থ করে তোলা যায় সে সমস্ত গরু নির্বাচন করতে হবে।

৯।গর্ভবতী অবস্থায় বাচ্চাকে সঠিক ভাবে ধারন করার জন্য জরায়ুর পার্শবর্তী হাড়গুলো গঠন সঠিক হওয়া জরুরী।

১০। দুধ দোহনের সময় গাভী কত দ্রুত দুধ ছাড়ছে তার উপর দুধ উৎপাদন ক্ষমতা অনেকাংশে নির্ভর করে।

এই কাজটি করার জন্য বাঁটের আকার,আকৃতি এবং ছিদ্র সঠিক হওয়া চাই হওয়া চাই সঠিক।

আজকে এই পর্যন্তই ।এরকম আরো পোষ্ট পেতে চাইলে এই পেইজে like দিয়ে সাথেই থাকুন।

ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অঃদাঃ)
রাঙামাটি সদর

Sunday 28 January 2018

রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় প্রথম ব্রাহমা গরুর বংশধরের জন্ম





অধিক মাংস উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ “ব্রাহমা” জাতের গরুর প্রথম বংশধর এল রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার জিয়াউল হকের খামারে।সম্মানিত খামারী, আপনাকে অভিনন্দন।


“বীফ ক্যাটেলে ডেভেলপমেণ্ট প্রকল্পের” আওতায় জিয়াউল হকের দেশি গরুটি কে ব্রাহামা জাতের বীজ দিয়ে কৃত্রিম প্রজনন করিয়েছিলে সহকর্মী এফ,এ (এ,আই) দীপল চাকমা। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন



আশা করা যায়, নিকট ভবিষ্যতে খামারী সফলতার মুখ দেখতে পাবে।আর দুঃখ গুছিয়ে উনার ঘরেও বইবে সুখের হাওয়া।জুড়াবে প্রাণ।

ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অঃদাঃ)
রাঙ্গামাটি সদর


Friday 26 January 2018

রাঙ্গামাটি জেলায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ,২০১৮ উদযাপন


রাঙ্গামাটিতে "প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ২০১৮" উপলক্ষে আয়োজিত র‍্যালী 


রাঙ্গামাটি
জেলা এবং সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যেগে নানা কার্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ,২০১৮।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে স্থানীয় খামারী,খাদ্য বিক্রেতা,ঔষধ বিক্রয় প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সতেজফুর্ত অংশ গ্রহনে সমগ্র আয়োজন প্রানবন্ত হয়ে উঠে।সমগ্র আয়োজনকে প্রানবন্ত করে রেখেছিলেন সর্বস্তরের খামারীদের প্রানবন্ত উপস্থিতি।
বিস্তারিত (https://goo.gl/anLVNv)
বর্নীল আলোক সজ্জায় আলোকিত রাংগামাটি সদর জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে ছিল
বর্নাঢ্য ্যালী, আলোচনা সভা,মেলা, স্কুল ফিডিং,মাঠ পর্যায়ে বিনামূল্যে প্রাণিস্বাস্থ্য সেবাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম।

ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ( অঃদাঃ)
রাঙামাটি সদর

Saturday 6 January 2018

গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির ১০টি কৌশল




প্রিয় খামারী ভাই-বোনেরা, যারা ডেইরী খামার করেন তাদের প্রায় সবাই চান খামার থেকে বেশি লাভ করতে।আর লাভ করতে হলেই তো বেশি দুধ প্রয়োজন।তাই আপনার খামারের গাভীটি যাতে তার সাধ্যের সবটুকু দিয়ে আপনার আশা পূর্ন করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।কিন্তু কিভাবে? যদি জেনে থাকেন তাহলে মিলিয়ে নিন আর জানা না থাকলে নিমিষেই নিচের ১০ট বিষয় খেয়াল করুন।

১।কিভাবে দুধ দোহন করান?


যদি দহনের কোন ত্রুটি থাকে,দোহন কারী পরিবর্তন হয় তাহলে দুধের পরিমানও পরিবর্তন হবে।আর দুধ দোহনের সময় যদি ইভটিচিং করেন তাহলে তো সে বেকে বসবেই।তার মানে দুধ দহনের সময় তাকে একটি শান্ত-শিষ্ট পরিবেশ দিতে হবে।

২। সুষম খাবার পর্যাপ্ত দিচ্ছেন তো?

যেই গরু বেশীই দুধ দিবে সেই গরুকে বেশি খাবার দিতে হবে এটাই স্বাভাবিক।জানেন সকলে মানেন কয়জনে?এবার ভাবুন।

৩।গর্ববতী গাভীর শারীরিক অবস্থা কেমন?

গাভী যদি গর্ভবতী হয় তাহলে তাকে এমন ভাবে খাবার দিতে হবে যেন সে নিজের শরীর চালানো,দুধ উৎপাদন এবং গর্ভস্থ বাচ্চার বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত খাবার

৪।গাভীর বয়স কেমন হল?

যদি বয়স হিসাব করেন তাহলে সাধারনত ৪-৫ বছর বয়সে দুধের ভরা বর্ষা চলতে থাকে।আর ৮-৯ বছরের পর শুরু হয় গ্রীষ্মের খরা।এবার ভাবুন,আপনার কি করা?

৫। শারীরিক ওজনঃ

গরুর ওজন যত বেশী হয় স্বাভাবিক ভাবে তার ওলান ও পরিপাকতন্ত্র বড় হয়।তাই দুধ উৎপাদন ক্ষমতা ও বেশী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৬।গর্ভকালঃ

গর্ভকালের শুরুর দিকে দুধের উৎপাদন তেমন পরিবর্তন না হলেও শেষের দিকে  উৎপাদন হ্রাস পায়।

৭।কতদিন পর পর বাচ্চা হয়?

বাচ্চা দেওয়ার ২-৩ মাসের মধ্যের যেন গাভী ডাকে আসে।তাহলে আপনি ১-১.৫ বছরের মধ্যেই  নতুন বাচ্চা পাবেন।

৮।সব বাটে কি দুধ সমান আসে?

সাধারনত গাভীর পিছনের অংশের বাট দুটি থেকে মোট দুধের ৬০% আসে এবং সম্মুখ অংশের বাট থেকে বাকি ৪০% আসে।

৯। কয়বার দুধ দোহন করেন?

সাধারনত সবাই দুই বেলা ।আর দুই বেলা দুধ দোহনের ব্যবধান যদি হয় সমান সমান (অর্থাৎ ১২ ঘন্টা পর পর) তবে আপনি সর্বাধিক দুধ সংগ্রহ করতে পারবেন।

১০।গাভীকে কতটুকু পানি দেন?

দুধের প্রায় ৮৭% পানি।
কিন্তু কতটুকু বিশুদ্ধ পানি আমরা তাকে দিচ্ছি?

এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন
।আর এই সম্পর্কিত আরো পোষ্ট পেতে www.facebook.com/farmerhope.page like দিয়ে সাথেই থাকুন।

ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদাঃ)
রাঙ্গামাটি সদর