Translate

Friday 28 April 2017

খামার যদি হয় বিনোদন!


রাঙ্গামাটি শহরের ভেদভেদি এলাকায় ছোট একটি ডেইরী খামার গড়ে তুলেছেন খামারী সমীর দে। নি‌জের মূলপেশার পাশাপা‌শি অবসর সময়টি আনন্দময় করে তুলেন খামারে কাজ করেন।

আনন্দের পাশাপাশি লাভবানও  হ‌য়ে‌ছেন তিনি। তাই তি‌নি অন্য‌দের‌কেও ব্য‌ক্তিগত কা‌জের পাশাপা‌শি একটা বা দুই‌টি গাভী পাল‌নের জন্য পরামর্শ দেন তিনি।

উনার বিশ্বাস, ডেইরী ফার্ম কর‌লে কখ‌নো ক্ষ‌তির সম্মুখীন হ‌তে হয় না। য‌দিও ক্ষ‌তি ব‌লে কেউ ম‌নে  ক‌রে থা‌কেন, এটা‌ সাম‌য়িক।

উ‌নি ম‌নে ক‌রেন উন্নত ঘাস খাওয়া‌লে গাভীর স্বাস্থ্য যেমন ভাল থা‌কে তেম‌নি দু‌ধের উৎপাদনও বা‌ড়ে এম‌নকি দানাদার খা‌দ্যের উপরও চাপ কম প‌ড়ে।
 তাই ৫০ শতক জায়গার উপর তৈরী করেছেন পারা ঘাস প্লট।দখলে মন জুড়িয়ে যায়।।

উনার অবর্তমা‌নে উনার স‌চেতন স্ত্রীর এক হাতে  খামা‌রের সব কাজ সামলে নেন।ফলে তার অবর্তমানে খামারের দেখা শুনা নিখুত ভাবে চলতে থাকে।

গাভীর কৃ‌ত্রিম প্রজনন থেকে শুরু করে, টিকাবীজ প্রদান ও বি‌ভিন্ন সম‌য়ে প্র‌য়োজনমত গবা‌দিপশুর চি‌কিৎসা সহ খামার সম্পর্কিত সব বিষয়ে উপ‌জেলা প্রা‌ণিসম্পদ অ‌ফিস, সদর, রাঙ্গামা‌টি  সব সময় উনার পাশে ছিল থাকবে, এই প্রত্যয় ব্যক্ত করছে।

যারা খামার করব করব ভাবছেন কিন্তু অন্য পেশায় জড়িত,তাদের জন্য উনি উদাহরন হয়ে রইল।

ডা:সুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অ:দা:)
রাঙ্গামাটি সদর।

একজন নতুন ডেইরী খামারীর স্বপ্ন


চোখে স্বপ্ন আর বুকে আশা নিয়ে ডেইরী ফার্মীং শুরু করেন স‌খিনা বেগম, স্বামীঃ নুর আলম, গ্রামঃ আ‌মেনা পাহাড় (ওমদা‌মিয়া পাহাড়), রাঙ্গামা‌টি।

 গাভী পাল‌নের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক থে‌কে লোন নি‌য়ে‌ছেন এবং উপ‌জেলা প্রা‌ণিসম্পদ অ‌ফিস, সদর, রাঙ্গামা‌টি থে‌কে কৃ‌ত্রিম প্রজননের জন্য সহায়তা নি‌য়ে‌ছেন। উনার বর্তমা‌নে দুই‌টি গাভী গর্ভবতী এবং আর এক‌টি বকনা যে‌কোন সময় ডাক দি‌তে পা‌রে। উ‌নিই  খামা‌রের মূল মা‌লিক।

উনার ইচ্ছা উনার স্বামী‌কে উ‌নি গাভী পালন ক‌রে আ‌র্থিকভা‌বে সহ‌যো‌গিতা করবেন এবং উ‌নি যেন গাভী পাল‌নের মাধ্য‌মে ব্যাংক থে‌কে নেওয়া ঋণ প‌রি‌শোধ কর‌তে পা‌রেন, তাই সক‌লের দোয়া চে‌য়ে‌ছেন।

আসুন উ‌নি যেন এ‌গি‌য়ে যান আমরা উনার জন্য দোয়া ক‌রি।

Saturday 22 April 2017

সবুজ পাহাড়ে সাদা ভেড়া

শু‌নে‌ছিলাম,
মাননীয় মন্ত্রীর নিউ‌জিল্যান্ড সফর,
পাহা‌ড়ে দেখ‌লেন ভেড়া পালন,
পা‌লে পা‌লে চর‌ছে ভেড়া,
লাগ‌ছে ভীষণ সুন্দর।

পণ কর‌লেন মাননীয় মন্ত্রী,
পাল‌বেন ভেড়া তিনি,
পার্বত্য চট্টগ্রা‌মের পাহা‌ড়ে,
সুন্দর লাগ‌বে আহা‌ রে!
‌মিটা‌বেন দে‌শের আ‌মি‌ষের চা‌হিদা,
ঘুচবে গ‌রি‌বেরও দুঃখ দুর্দশা।

‌যেমন ভাবা তেমন কাজ,
পার্বত্যবাসী দেখল ভেড়ার চাষ,

মাননীয় মন্ত্রীর আ‌শির্বাদ,
মা‌ঝে মা‌ঝে~
রাস্তায় দেখা যায় ভেড়ার ঝাক,
মাননীয় মন্ত্রীর জয় হোক,
‌ভেড়া পালন স্বার্থক হোক।

........অসাধারন এই কবিতাটি লিখেছেন এবং ছবি তুলেছেন সহকর্মী দীপল চাকমা।

রাঙ্গামা‌টি সদর উপজেলার পৌরসভা থে‌কে আসামব‌স্তি হ‌য়ে কাপ্তাই যাওয়ার প‌থে মগবান ইউ‌নিয়‌নে প্রায়ই দেখা মে‌লে মৎস্য ও প্রা‌ণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গরীব সুফল‌ভোগী‌দের মা‌ঝে বিনামূ‌ল্যে বিতরণকৃত ভেড়ার পাল।

গত বছর "সমাজ ভিত্তিক ও বানিজ্যিক খামারে দেশী  ভেড়ার জাত উন্নয়ন ও সংরক্ষন" প্রকল্পের আওয়তায়  বিনামূল্যে ভেড়া প্রদান করা হয়।রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আন্তরিক তত্ত্ববধানে ভেড়ার সংখ্যা বাড়তে থাকে।যা দৃষ্টি কাড়ে পর্যটকদের।

ডা:সুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অ:দা:)
রাঙ্গমাটি সদর
বৃষ্টি বাদলে ব্রয়লার মুরগীর খামার ব্যবস্থা পনা

বৃষ্টির দিনে ব্রয়লার মুরগীর খামারে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে
১)কাল বৈশাখীরা বৃষ্টি সময় প্রাচুর বাতাস থাকে তাই।খামারের চাল উড়ে যেতে পারে তাই মাটির সাথে শক্ত খুঁটি পুতে তার শক্ত তার বা দড়ি দিয়ে টানা দিয়ে বাঁধতে হবে যাতে প্রচন্ড বাতাস উড়িয়ে না নিতে পারে।
২) খামারে সব সময় পর্দা ফেলে রাখা যাবে না।বিশেষ করে মুরগীর বয়স ১৫ দিনের অধিক হলে।যখন প্রয়োজন তখন পর্দা ফেলতে হবে।আবার আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পর্দা তুলে দিতে হবে।
৩) মুরগী বড় হয়ে গেলে পর্দা কখনো সম্পুর্ন ফেলা যাবে  না।সবচেয়ে ভাল হয় উপরে ২ ফুট খালি রেখে নিচের দিকে পর্দার ফেলা হলে।
৪) খামারে যাতে কোন ভাবে বৃষ্টির পানি ঢুকতে না পারে সেদিকে সতর্ক তগাকতে হবে।
৫) খামারে পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলা চলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।যাতে করে মুরগী পর্যাপ্ত বাতাস পাই।যা তার বৃদ্ধির জন্য খুব প্রয়োজন।
৬)খামারের লিটার/ভুষি পর্যাপ্ত শুষ্ক রাখার চেষ্ঠা করবেন।

Friday 21 April 2017

সফল যারা কেমন তার!





নিতান্ত সহজ সরল এই মানুষটির নাম মোঃ সিরাজুল হক। তার গরুর দুধের দাম বাজার দরের চেয়ে কমপক্ষে দশ টাকা বেশি থাকে।বলুন তো কেন? সেই উত্তর আপনারাই দিবেন।কিন্তু তার গবাদি পশু পাখি গুলোর প্রতি সেবার বিষয়ে তার কোন আপোষ নেই।
নিজ খামারে মোঃসিরাজুল হক


রাঙ্গমাটি প্রাণিসম্পদ দপ্তরের রেকর্ড অনুসারে তিনি খামার শুরু করেন ১৯৮২ সালে।সেই থেকে বর্তমানে ৩০+ গরু নিয়ে তার খামারটি চোখে পড়ে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার রাঙ্গামাটি পৌরসভার আসামব‌স্তি এলাকায়। বর্তমা‌নে দুধালো গরু আছে ১৫ টি দুধাল গাভী রয়ে‌ছে।

রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগীতায় কৃত্রিম প্রজনন করিয়ে খামারে এখন মোটামুটি সব গাভীই অধিক দুধ উৎপাদনকারী ক্রস ফ্রিজিয়ান এবং ক্রস জার্সি ।


নিজের খামারের গরুগুলোর খাবারের কথা চিন্তা করে বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে তুলেছেন নেপিয়ার এবংপাকচুং ঘাসের বাগান।তার মতে গবাদি পশু পালনের জন্য কাঁচা ঘাসের কোন বিকল্প নেই।

নিজের লাগানো পাকচুং ঘাসের প্লটে খামারী মোঃসিরাজুল হক

যারা নতুন খামারী,যারা খামার নিয়ে হতাশায় আছেন তাদের জন্য এই পোস্ট।এরকম সফল  খামারি আরো অনেক উদাহরন পাওয়া যাবে রাঙ্গামাটিতে ।আর সমগ্র দেশের কথা বললে তো আর কথাই নেই!

তাই বিজ্ঞান সম্মতভাবে খামার করুন আর লাভবান হোন, এই প্রত্যাশা।

ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অঃদাঃ)
রাঙ্গামাটি সদর
facebook page :farmer hope

খামারীর স্বপ্ন


নাম তার টনিক চাকমা। টগবগে এই তরুনের স্বপ্ন সফল খামারী হবার।তাই বেকারত্বের কালিমা গুছিয়ে স্বাবলম্বী হতে রাঙ্গামাটির সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের প্রিয় মোহন দেওয়ান পাড়া এলাকার শুরু করেন ডেইরী খামার।

রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহায়তায় সাফল্যের মুখও দেখতে শুরু করেছেন তিনি।সহকর্মী ভি,এফ,এ (এ,আই) দীপল চাকমা নিয়মিত সফলভাবে কৃত্রিম প্রজনন করিয়ে আসছেন।এবার তার খামারে প্রথম বারের মত ব্রাহমা জাতের বীজ দিয়ে কৃত্রিম প্রজনন করানো হয়েছে।সবাই তার জন্য শুভ কামনা করবেন যেন উনি একটি ভাল দেশি X ব্রাহমা বাচ্চা পাই।



যেহেতু উনি নতুন খামারীতাই অভিজ্ঞ খামারীরা তাদের অভিজ্ঞ পরামর্শ কমেন্টস করে তার ভবিষ্যতের পথ চলা আরো সুন্দর করবেন

ডাঃ সুচয়ন চৌধুরী
উপজলেয়া প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অঃদাঃ)
রাঙ্গামাটি সদর

Visit our fb page :Farmer Hope

Sunday 9 April 2017

গবাদি প্রাণির দুর্যোগ মোকাবিলায় খামারীর পূর্বপ্রস্তুতি

গবাদি প্রাণির দুর্যোগ মোকাবিলায় খামারীর পূর্বপ্রস্তুতি


বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে প্রতি বছর আমদের দেশে হাজার হাজার গবাদি পশু-পাখি মারা যায়।এর ফলে বিপুল পরিমান অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখিন হয় খামারীরা।যা জাতীয় অর্থনীতিতেও প্রতিক্রিয়া তৈরী করে।বাংলাদেশের মত দ্রুত উন্নয়নশীল দেশের জন্য সেটা আরো মারাত্মক।

Planning for Farmer to confront Disaster for Animal (for English click here) 
প্রাকৃতিক দূর্যোগগুলো অনাখাংকিত ভাবে ঘটে যায়।ফলে পূর্ব প্রস্থুতি না থাকলে সেগুলো মোকাবিলা করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।কিন্তু একটু সতর্ক হলে সময় নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া  যায়। আমাদের দেশে মুলত দুইটি দুর্যোগ খুব মারাত্মক।একটি হল, ঘুর্নিঝড় আর একটি হল বন্যা।আসুন আমরা গবাদি পশু-পাখির দুর্যোগ মোকাবিলা পুর্ব প্রস্তুতি কি কি হতে পারে তা একটু জানি।
  •  খামারের চাল মজবুত করে বাঁধাঃ
দূর্যোগকালীন সময় প্রচন্ড বাতাস যাতে খামারের চাল উড়িয়ে নিতে না পারে সে জন্য খামার এবং খামারের চাল শক্ত করে বাঁধতে হবে।পরবর্তীতে মাটিতে শক্ত কতে খুঁটি পুতে তার সাথে শক্ত দঁড়ি দিয়ে খামারের চাল বেঁধে দিতে হবে।
  •  পানি চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থাঃ
বর্ষাকালে বৃষ্টি বা বন্যার পানি যাতে জমে না থাকে সে জন্য পানি চলা চলের জন্য বিকল্প নালা তৈরি করে রাখতে হবে।কারন হঠাৎ করে পানি বাড়তে শুরু করলে নালা তৈরী করার সময় পাবেন না।বৃষ্টির পানি শুষে নাবার জন্য খামারের চার পাশে সবজি চাষ করা যেতে পারে।এটা সাময়িক ভাবে অল্প পানির সমস্যা পূর করে পারে।

  •   জলাশয়ের চতুর্দিক ঘেরাঃ
খামার যদি নদী,হ্রদ বা জলাশয়ের নিকটবর্তী হয় তা হলে যেদিক থেকে পানি খামারকে প্লাবিত করতে পারে সেদিকে উঁচু করে বাঁধ তৈরী করতে হবে যতে বন্যার সময় খামার বন্যার ঝুকই থেকে মুক্ত থাকে।


  • খামার সংস্কারঃ
খামারের দরজা ,জানলা দেওয়াল সময় থাকে ঠিক করে নিতে হবে।
  • খামারের ক্ষতিকর রাসায়নিক অপসারনঃ
খামারে আশে পাশে কোথাও কোন ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ কীটনাশক, জীবানুনাশক,ইঁদুর নাশক থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে ।খেয়াল রাখতে হবে কোনভাবেই যেন তা বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে গিয়ে খামারের কাঁচাঘাসের সাথে মিশতে না পারে।যে সমস্ত পুকুর বা অন্য জলাশয়ে এ সমস্ত রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত পানি প্রবেশের সম্ভাবনা আছে তা চারপাশে ছোট দেওয়া তৈরী করে দিতে হবে।যাতে  বৃষ্টি বা বন্যার পানি সেখানে ঢুকতে না পারে।এ সমস্ত পদার্থ গবাদি পশূর মারাত্মক ক্ষতি, এমন কি মৃত্যুত কারনও হতে পারে।
  •  দুর্যোগকালীন গুরুত্বপুর্ন জিনিস সংগ্রহঃ
দুর্যোকালীন বা দূর্যোগ পরবর্তী যে সমস্ত জিনিস প্রয়োজন হতে পারে তার একটি তালিকা তৈরী করে দুর্যোগের পূর্বেই সংগ্রহ করে রাখতে হবে।কারন বিপদের সময় এ সমস্ত জিনিস নাও পাওয়া যেতে পারে অথবা পাওয়া গেলেও অধিক পয়সা খরচ হতে পারে।

  •   প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের নামের তালিকাঃ
প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে রাখতে হবে।যেমন স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা,উপজেলা প্রশাসন ইত্যাদি।

  •  গবাদি পশুকে টীকা প্রদানঃ
গবাদি পশু-পাখিকে প্রয়োজনীয় সকল টীকা দিয়ে রাখতে হবে।কারন দুর্যোগের পরে গবাদি পশুর বিভিন্ন ছোঁয়াছে রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু টীকা পশু-পাখিকে এ বিপদ থেকে রক্ষা করবে।
  • পশু স্থানান্তরঃ  
অনেক সময় গবাদি পশুকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হয়। সেক্ষেত্রে কোথায় স্থানান্তর করতে হবে,কোন পথে স্থানান্তর করা যাবে, কে স্থানান্তর করবে এ সব বিষয়ে পূর্ব থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখতে হবে।বিপদকালীন স্থানান্তরের ক্ষেত্রে , কোন পশূগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তার একটি তালিকা তৈরী  করে রাখতে হবে।তাছাড়া, পশুগুলো চিহ্নিত করে রাখতে হবে। যাতে দূর্যোগ পরবর্তী পশু হারিয়ে গেলে সহজে খুজে পাওয়া যায়।গরুর জন্য প্রয়োজনীয় দড়ি,খামার এবং পানি প্রস্তুত রাখতে হবে এবং গাভী স্থানান্তরের সময় সেই সব প্রয়োজনী জিনিস পত্র সরবরাহ করতে হবে ( যদি সম্ভব হয়)।
  •   আশ্রয়ন কেন্দ্রে স্থানান্তরঃ
দুর্যোকালীন সময়ে গবাদি পশু আশ্রয়ন কেন্দ্রে স্থানান্তর করবে না কি বাইরে ছেড়ে দিতে হবে সেটা আশ্রয়ন কেন্দ্রের দুরত্ব ও অবস্থার উপর নির্ভর করবে ।যদি পর্যাপ্ত জায়গা থাকে তাহলে আশ্রয়ন কেন্দ্রে নেওয়া যেতে পারে ।অন্যথায়, বাইরে ছেড়ে দিতে হবে।তবে পোষা কুকুর-বিড়াল থাকলে সেগুলো নিজের কাছে রাখাই উত্তম। কিছু কুকুর আছে যেগুলো খুব ভয়ংকর।এগুলো সাধারন মানুষের ক্ষতির কারন হতে পারে।
  • আগে মানুষ না কি পশু?
কিছু কিছু সময়  এমন সময় আসে যখন নিজের প্রানের তাগিদে পোষা পশু- পাখিগুলোচ ছেড়ে যেতে হয়।সেক্ষেত্রে পশু-পাখি গুলো জন্য পর্যাপ্ত খাবার এবং পানি সরবরাহ রেখে যেতে হবে। কম পক্ষে দুই দিনের খাবার -পানি রাখতে হবে। সাধারনত দুই একদিনের মধ্যে দুর্যোগ্মোকাল বিলায় প্রাথমিম উদ্যোগ নেওয়া হয়ে যায়।অনেক ক্ষেত্রে পশু মারার যায় বা অসুস্থ হয়ে যায় ।তবে যেগুলো বেঁচে থাকে সেগুলোকে উদ্ধারের পর অবস্থ বুঝে ব্যবস্থা নিতে হয়।

 এভাবে দুর্যোগ মোকাবিলায় পুর্ব প্রস্থুতি আপনার গবাদি পশু, পোষা প্রাণি বা পাখিকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে। সাথে সাথে দেশ ও মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে।

ধন্যবাদান্তে
ডঃসুচয়ন চৌধুরী
ভেটেরিনারি সার্জন
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর
রাঙ্গামাটি সদর
suchayan_chy@yahoo.com


Planning for Farmer to confront Disaster for Animal




Planning for Farmer to confront Disaster for Animal
[For Bangla Font]



Disaster  causes death and sufferings of thousands Animals. Draft, Cyclone, Earthquakes, landslides, floods affect thousands of animals.



It also causes a huge amount of Economic losses. Developing country such as Bangladesh, this condition is more dangerous.
The event may occur unexpectedly. At first you should determine what type of disaster could occur on the farm and how often.
Now, Flood is most dangerous and Cyclone in summer season and Flood in Rainy Season. Now, let us discuss about our duty to save animal in this unfavorable seasons.`


  1.  Farm roof fortification

It is important to tying down homes or barns with ground anchors to withstand wind damage,

II. Redirecting flood water:
Redirecting the impact away from a vulnerable location by the digging of water channels or planting vegetation to absorb water,

III. Build barrier Surrounding the water source:
the establishment of setback regulations so building is not allowed close to the water’s edge, and the building of levees or permanent barriers to control flooding.

IV. Farm Repair:
Barns and buildings can be built or repaired. The farm should be built on higher ground or move to higher ground.

V. take away toxic Chemicals:
Many farms contain burial sites contaminated with lead based mostly paints, machinery grease, motor oil, lead lined tanks, batteries, roofing nails, asphalt, shingles, caulking compounds, linoleum, and plumbing lead. Throughout flooding this material might leech into the crops or feed offer or be captive to a a lot of accessible space wherever animals might consume them.

VI. Acquire vital suppliers:
Suppliers which will be required throughout or once the disaster ought to be obtained. Several of those things might not be procurable once the disaster. Also, by getting those before a lot of affordable costs are going to be paid.

VII. Emergency telephone number Collection:
A list of resources and other people ought to be developed by the farmer and unbroken with vital papers. This list ought to contain emergency phone numbers, suppliers, truckers, and other people which will facilitate with the animals particularly if traditional operating conditions are discontinuous .


VIII. Animal vaccination:
Animals ought to be unbroken current on all acceptable vaccinations and booster shots before the disaster. Keep a record of the merchandise given and therefore the date of injection. the strain of the event and therefore the disruption of the atmosphere might cause a rise in communicable disease unfold. Correct vaccination might defend the animals.

IX. Evacuation
If evacuation of the animals is being thought of (which might not be practical) to avoid the hazard then evacuation procedures, places, and routes ought to be planned. Since all animals might not be able to be exhausted, homeowners ought to decide sooner than time that is that the most significant ones to save lots of. These animals ought to be known sooner than time. This data are going to be helpful to resolve arguments of possession just in case the animal gets loose. Restraint instrumentality, food and water provides ought to be accessible to use and move with the animals.

X. Shelter:
Whether to maneuver domestic animals to shelter or leave them outside can depend upon the integrity and site of the shelter being employed and therefore the variety of disaster. If area is accessible the animals unbroken within otherwise they allowed to travel outside. Farm cats and dogs ought to either be placed in a very disaster proof place or turned loose, as they often can keep near their aim the immediate amount following a disaster.

XI. Human evacuation
What is through with the animals if there's a necessity to evacuate the premises, and therefore the animals got to be left unattended? There’s invariably the danger that animals left unattended for extended periods might die or suffer injury. Sometimes, this might be the sole choice to defend human life. Regardless, once the animals’ are secured in acceptable shelters food and water ought to be left for them, that they will acquire on their own. the number necessary for survival is significantly but for different functions. If the animals survive, then the choice is created once the disaster whether or not it's definitely worth the time and expense to bring them back to their previous condition

This type of coming up with before disaster might save the animals from danger. The country can save from severe economic loss.

Thank You

Dr.Suchayan Chowdhury
Veterinary Surgeon
Upazila livestock office,
Rangmati Sadar
suchayan_chy@yahoo.com







Reference:
1. www.unisdr.org

2. AWIC newsletter, Oct.-Dec. 1993, Vol. 4, No. 4