Translate

Sunday, 18 March 2018

মৃত সন্তান পেটে যন্ত্রনা কাতর ছাগীকে প্রসব করিয়ে মুক্তি প্রদান



“সন্তান সম্ভবা ছাগীটি দু’একদিন ধরে খুব চিৎকার করছে।আর খুব কষ্ঠ পাচ্ছে।আপনি কিছু একটা করুন।”.....খামারীর এমন অনুরোধ শুনে দ্রুত ছুটে গিয়েছিলাম ছাগীটি দেখতে।পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা মোটামুটি বুঝা গেল ছাগীটির গর্ভস্থ বাচ্চাটি মারা গেছে।বাচ্চার পজিশন পালটে গেছে ।বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় Dystokia. বাচ্চাটি আর কোন ভাবে বের হতে পারছিল না।অগত্যা মৃত্যুই তার জন্য অনিবার্য হয়ে উঠেছিল।

সম্পূর্ন ডেলিভারীর ভিডিওটি এই লিংকে পাবেন

ধারনা করছি,গর্ভবতী ছাগীটি কোন ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে।অথবা কেউ আঘাত করেছে।আলাপ করে জানতে পারলা।গর্ভবতী ছাগীর সাথে অন্যান্য ছাগলও রাত্রে এক সাথে রাখা হয়। এখানে পাঠাও রাখা হয়।তাই রাত্রে পাঠার শিং এর ঘুসি খেয়েও গর্ভস্থ বাচ্চাটি আঘাত প্রাপ্ত হতে পারে।

মালিকের সাতে আলোচনা সাপেক্ষে প্রসব করানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।খুব সাবধানতার সাথে ডলিভারীটি করালাম।যদি বাচ্চাটি সামান্য পরিমান শ্বাস থাকত তাহলেও কিছু একটা করা যেত।কিন্তু ডেলিভারী করানো পর দেখলাম মৃত বাচ্চাটির গায়ে পঁচন ধরেছে।তারে মানে বাচ্চা মারা গেছে অনেক আগেই।দৃশ্যটি খুবই হৃদয় বিদারক।তবে পেশা গত কারনে সেটি সহ্য করতে হয়।

তাই প্রিয় খামারী, আমি চাই না আর কোন খামারীর খামারে এই অবস্থা হোক। যারা ছাগল পালন করেন তারা খেয়াল রাখবেন।বাচ্চা প্রসবের এক মাস আগে থেকে ছাগীটি যেন কোন ভাবেই আঘাত প্রাপ্ত না হয়।সম্ভব হলে অন্যান্য ছাগল থেকে আলাদা রাখাই সর্বোত্তম।

আপনার খামারের গর্ভবতী ছাগীটি সুস্বাস্থ্য ও সুপ্রসব কামনা করছি।।

ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদাঃ)
রাঙ্গামাটি সদর,রাঙ্গামাটি

No comments:

Post a Comment